সাবেত আহমেদ, গোপালগঞ্জ: [২] শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র নীতি খুব ভালো- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা সেই নীতিই মেনে চলি। কিন্তু আমাদের উন্নয়নে কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করুক, সেটা আমরা চাই না।

[৩] ঈদুল আজহা উপলক্ষে রোববার টুঙ্গিপাড়ার সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

[৪] তিনি বলেন,  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু দেশবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন, যার জন্য তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।

[৫] প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে এই পর্যন্ত আসা। একটি বাড়ি-একটি খামার, ডিজিটাল বাংলাদেশ, কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার গ্রাম-আমার শহর, নানা সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

[৬] তিনি বলেন,  বাংলাদেশের এমন কোনো অঞ্চল নেই যেখানে আমি যাইনি। আমি নৌকা, সাম্পান, লঞ্চ ও রিকশা-ভ্যানে চড়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছি। আমি এমনভাবে দেশ ভ্রমণ করেছি এবং সারা দেশে ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে এসেছি।

[৭] শেখ হাসিনা  বলেন, বিএনপির নেতা কে? খালেদা জিয়া। যিনি এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন, কারাগারে সাজাভোগ করছেন। আমি দয়া করে তাকে বাসায় থাকতে দিয়েছি। এরপর কাকে নেতা বানালেন? তারেক জিয়া। সেও কিন্তু আসামি। দশ ট্রাক অস্ত্র এনেছিলো। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাদের হত্যা করতে চেয়েছিল। ওইদিন আইভি রহমানসহ আমার ২২জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। এছাড়াও মানি লন্ডারিং, দুর্নীতিসহ এমন কোন অপরাধ নেই- সে না করেছে। প্রত্যেকটা আজ সাজাপ্রাপ্ত। পলাতক হয়ে ওই লন্ডনে বসে এখন সোশ্যাল মিডিয়া দিয়ে বড় বড় কথা বলে।

[৮] বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সংযম অবলম্বন, বর্ষাকালে বৃক্ষ রোপণ এবং এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। 

[৯] মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ার উন্নয়ন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের অভিজ্ঞতা শুনতে চান। [১০] শেখ হাসিনা বার্ধক্যজনিত কারণে অবসরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে স্থানীয় জনগণ তাকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকার অনুরোধ জানান। তারা শেখ হাসিনাকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করেন। আগামী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সাহায্য করার জন্য কাজ করার দৃঢ়অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, শেখ হাসিনাই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন।

[১১] মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল উপস্থিত ছিলেন। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব